বাংলাদেশে সয়াবিন তেলের দাম কমানোর কিছুদিন পরই আবার তা বৃদ্ধির প্রস্তাব উঠেছে। বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফেকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে লিটারে ১৫ টাকা দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। বুধবার এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠানো হয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আন্তর্জাতিক বাজারে ক্রুড অয়েলের দাম এবং ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন এর মূল কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
গত ৩ অক্টোবর বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১৪ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৭ টাকা কমানো হয়েছিল। সেই অনুযায়ী, এখন বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৭৮ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৫৮ টাকা প্রতি লিটার। পাঁচ লিটারের বোতল ৮৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এখন নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী, লিটারে ১৫ টাকা বাড়ানো হলে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম দাঁড়াবে ১৯৩ টাকা, পাঁচ লিটারের বোতল ৯৫৫ টাকা, এবং খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৭৩ টাকা প্রতি লিটার হবে।
তবে সরকারের পক্ষ থেকে এখনও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রস্তাবের যৌক্তিকতা যাচাই করতে ১৫ দিন সময় লাগতে পারে। বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন এই বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ জানান, দাম বাড়ানোর বিষয়ে এখনও পর্যালোচনা চলছে। কতটুকু দাম বাড়ানো যেতে পারে, তা নিয়েও চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনার টাস্কফোর্সের সভা শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানান, ভোজ্যতেলের দাম সমন্বয় করা হবে।
তবে প্রস্তাব দেওয়ার পর থেকেই কিছু ডিলার বেশি দামে তেল বিক্রি শুরু করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। পাঁচ লিটারের কার্টনে ১০০ টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে, অর্থাৎ লিটারে ৫ টাকা বাড়তি মূল্য ধরা হচ্ছে পাইকারি পর্যায়ে। খোলা সয়াবিন ও পাম তেলের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে।
কারওয়ান বাজারের খুচরা বিক্রেতারা জানান, ডিলাররা ইতিমধ্যেই তেলের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে, যদিও সরকার থেকে এখনও ঘোষণা আসেনি। এছাড়া সয়াবিন ও পাম তেলের দামও পাইকারি বাজারে ১ থেকে দেড় হাজার টাকা বেড়েছে প্রতি ড্রামে।
ইয়াসিন জেনারেল স্টোরের বিক্রয়কর্মী জানান, তেলের কোম্পানিগুলো দাম বাড়ানোর কথা জানিয়েছে এবং তারা এখন বেশি দামের তেল অর্ডার নিতে শুরু করেছে। তবে বাজারে তেলের সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই। বোতলজাত ও খোলা উভয় ধরনের তেলের সরবরাহ পর্যাপ্ত রয়েছে।
You may also like
-
আইসিআইসিআই ডাইরেক্টের ‘উচ্চ আস্থা’ পছন্দ: আইআরইডিএর জন্য তিনটি মূল কারণ
-
নেপাল-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য উন্নয়নে পিটিএ অনুমোদনের জন্য উদ্যোগ
-
জ্বালানি তেলের দামে বৃদ্ধির ঝুঁকি, বিশ্ব অর্থনীতি অনিশ্চয়তায়
-
পোশাকশ্রমিকের নিম্নতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা নির্ধারণের দাবি
-
মার্কিন ব্যাংকধসের ঘটনা থেকে যেসব শিক্ষা নিতে পারে বাংলাদেশ